ছবি: সংগৃহিত
এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সকল অদক্ষ শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি’র নির্মিত অবকাঠামোসমূহের গুণগত মান ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএমইটি, কারিগরী শিক্ষা বোর্ড এবং এলজিইডি মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
আজ রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি একথা জানান।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের আদলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে একটি ’নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিপুল সংখ্যক অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে যারা প্রশিক্ষিত হলে দেশের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক গড়ে তোলা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
কারিগরি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অনেকেরই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাকে অর্থবহ করার জন্য কারিগরি শিক্ষার আরও সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের অর্থাৎ তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হলে কারিগরি শিক্ষার প্রসারের বিকল্প নেই জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিত করলে আত্মকর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা উভয় অর্জন করা সম্ভব।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার প্রয়োজন।
এ সময় বাংলাদেশ-জার্মান ও বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দুটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করা হয় এবং মন্ত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনেকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেসবাহ উদ্দিন, বিএমইটি মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ খান উপস্থিত ছিলেন।