শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

সময় থাকতে কেটে পড়েন, না হলে পালানোর জায়গা পাবেন না: ফখরুল

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ২৭ নভেম্বর ২০২২

সময় থাকতে কেটে পড়েন, না হলে পালানোর জায়গা পাবেন না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব কুমিল্লার গণসমাবেশের মঞ্চে উঠেই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘গোমতী নাকি কুমিল্লা চান’? এতে উপস্থিত জনতা কুমিল্লা বলে জবাব দেন।

এরপর বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ যেখানে আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন, এই সমাবেশের জন্যই নয়ন খুন হয়েছে। নয়নের বুকে জ্বলা আগুন এই সমাবেশ। সরকার ভাতে মারছে, গুলিতে মারছে। আর তারা বলছে, ‘আমরা কি রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছি?’’ আমরা বলবো, রিজার্ভ আপনারা গিলে খেয়েছেন। আপনার মন্ত্রীরা মিলে গিলে খেয়ে মোটা তাজা হয়েছেন। আপনারা দেখেছেন, তারা (এমপি-মন্ত্রীরা) দিন দিন কী মোটা হচ্ছে। ১০ তলা বাড়ি থেকে ২০ তলা বাড়ি হচ্ছে তাদের। কিন্তু দেশের কী হচ্ছে? সময় থাকতে কেটে পড়েন- না হলে পালানোর জায়গা পাবেন না’

শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৮ সালের রাতের ভোট এবার কি আপনারা চান? না চাইলে ১০ ডিসেম্বর আসুন। আমরা নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনও নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্বাচন হবে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের হাতে। আপনার মন্ত্রীরা মন্ত্রী থাকবে, আপনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন- আর নির্বাচন দেবেন, তামাশা পেয়েছেন?’

তিনি বলেন, ‘এখন মানুষ বলে আগে জানলে ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। মানুষ নৌকায় উঠে ভুলের মাশুল দিচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ সব কিছুর আকাশ ছোঁয়া দাম। এই সরকার মানুষের স্বপ্ন লুটে খেয়েছে। এ জন্য বলি, মানুষ না খেতে পেরে রাস্তায় নেমেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীন হতে ৭১ সনে একবার যুদ্ধ করেছি। এখন আবার যুদ্ধ করতে হচ্ছে ভোটের অধিকারের জন্য। আমরা আরেকটা ৭১ আনবো। এবারের যুদ্ধ হবে ভোট চোর, কম্বল চোরের বিরুদ্ধে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেক মন্ত্রীরা দেখি, কী কী জানি বলে। আপনারা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করলে কী জামানত থাকবে? শোনেন, এই সাধারণ মানুষকে নিয়ে যেমন খুশি তেমন আর করার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘শুনেছি, ১৫ দিনে নাকি রাজশাহীতে ৩৫ মামলা হয়েছে। সব গায়েবি মামলা। ১০ ডিসেম্বরের আগে এমন বহু গায়েবি মামলা হবে। এদের (সরকারের) চামড়া গণ্ডারের মত। সব করে তারা দোষ দেয় বিএনপির। তারা বলে, আমরা নাকি অগ্নিসন্ত্রাস করবো। শুনুন, অগ্নিসন্ত্রাস করতে গিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ধরা খেয়েছে বিএনপি নয়।’

ফখরুল বলেন, ‘১০ বছরের এই লুটেরা সরকার খেয়েছে ৮৬ লাখ কোটি টাকা। আর এক বছরে বিদ্যুতের নামে খেয়েছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এগুলা কে খেয়েছে? বিএনপি? শোনেন পত্রিকায় দেখলাম, গণসমাবেশে সাধারণ মানুষ যাচ্ছে। আচ্ছা এটা কী অস্বাভাবিক কিছু? মানুষ এখন নিরুপায়। তারা নাকি আমাদের পূর্বাচলে পাঠাবে, তারপর আরেকটু এগিয়ে আসলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আমরা বলি, আরেকটু এগিয়ে আসুন। তাছাড়া উপায় নাই। এগিয়ে আসতেই হবে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পল্টনেই হবে। সব ফয়সালা রাজপথে হবে। গুম, খুন হত্যা, নির্যাতন সব কিছুর বিচার হবে- বাংলার মাটিতেই হবে। এ দেশের মানুষ করবে।’