শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

ভারত ৭১ এ যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও তেমনি আছে-ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ০৮:৩১, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

ভারত ৭১ এ যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও তেমনি আছে-ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।

"মিট দ্যা সোসাইটি" শীরোনামে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ৭১ এ যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও তেমনি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন,  দুদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিল সেই ৭১ এ। সেই যাত্রা এখনো বহমান। আগামীতেও আরো গভীর হবে এই সম্পর্ক। সাউথ এশিয়াতেই নয় পুরো বিশ্বেই দু'দেশের সম্পর্ক দেখছে।

এতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব বিশিষ্ঠ চিকিৎসক ও কলামিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতিয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো মোকাবিলায় সম্মিলিত কাজ করছি আমরা। তরুণদের কাছে ৭১ এর চেতনা পৌঁছে গেছে। ইউথ ডেলিগেশন চলছে দু'দেশের মধ্যে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাহলে আরাও এগুবে সম্পর্ক। প্রণয় ভার্মা বলেন, নরেন্দ্র মোদির কথা মত দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও একসাথে কাজ চালিয় যাবো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো শামসুল হক টুকু এমপি বলেন,পৃথিবীর বিভিন্ন শাসক, রাষ্ট্রনায়কাের সামনে কি কৌশল কি চতুরতার সাথে সাত মার্চের ভাষনে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা সারা বিশ্ব দেখেছে। সে থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। কৃষক মজুর বুদ্ধিজীবি চিকিৎসকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ সেই যুদ্ধ করেছি। ডেপুটি স্পিকার বলেন, এক কোটি স্বরণার্থী ত্রিপুরা আশ্রয় দিয়েছিল । তিনি বলেন, পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু বহুমুখি পদক্ষেপ দিয়ে অনেক আগে থেকে মুক্তিযুদ্ধ গুছিয়ে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ কেবল আনুষ্ঠানিক স্বাধিনতা ঘোষণা করেছিলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন,  স্বাধীনতার সময়ের সরকারকে তিনি প্রবাসি সরকার বলবেন না। কেবল  অস্থায়ি কাজ চলেছিল কলকাতায়। কিন্তুসরকার গঠন হয়েছিল দেশে মেহেরপুরে মুজিবনগরেই। তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন

তাদের দেশেও এবং আমাদের দেশেও নানান চ্যালেঞ্জ আছে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিরোধিতাও আছে। মুক্তিযুদ্ধে জামাত রাজাকার ছিল।

এখনও আছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের  নিশ্বেস না করা পর্যন্ত। সতর্কতার সাথে চলতে হবে যেনআমাদের বন্ধুত্ব যেন নষ্ঠ না হয়। ডিপুটি স্পিকার আরও বলেন, প্রয়োজনে অপ্রযোজনে দুই দেশের সরকার বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে তা নার্সিং করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রূতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। মিসেস গান্ধি করেছেন। অস্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষকে কিভাবে ভুলে যাই? ত্রিপুরার মানুষ নিজেদের জনসংখ্যার বেশি মানুষকে খাইয়েছে। থাকতে দিয়েছে। আসাম পশ্চিম বঙ্গ এইভাবে এগিয়ে এসেছে। বিহারে অবাঙ্গালিরাও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িছে। এমনকি বোম্বের  ফিল্ম তারকা বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন।  নদীয়ায় স্বাধীন বাংলা  ফুটবল টিমের ম্যাচ ঘিরে ঐতিহাসিক জমায়েত হয়েছে। নদীর মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফুটবল ম্যাচের মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে।।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলি জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন(অব.) সাহাব উদ্দিন বীর উত্তম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ড. পবিত্র সরকার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ভিসি প্রফেসর কামরল হাসান খান প্রমূখ।