শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

দেশ ঠিক আছে, বিএনপির তলা ফেটে গেছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৬ নভেম্বর ২০২২

দেশ ঠিক আছে, বিএনপির তলা ফেটে গেছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ নাকি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। যদি তলাবিহীন ঝুড়িতে দেশ পরিণত হতো, তাহলে এতো উন্নয়ন হতো না। বাংলার মানুষ খেয়ে পড়ে আছে, তাহলে তারাতো খেয়ে পড়ে থাকতে পারতো না। আসলে দেশ ঠিক আছে, বিএনপিরই তলা ফেটে গেছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মান্তা পল্লীর মাঠে ‘অবহেলিত চরাঞ্চল উন্নয়নে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ভাসমান জনগোষ্ঠী মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতাভুক্ত ৩০টি ঘরের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সভায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তারা এতো অপরাধ করেছে, এতো অন্যায় করেছে, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে যে বাংলার মানুষের কাছে তাদের কোন অবস্থান নেই। তারা দেশের মধ্যে একটি গোলযোগ পাকাতে চায়। তারা কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ধন্যা দেয়, বিভিন্ন অভিযোগ দেয়। তারা জনগণের কাছে যায় না।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘোষণা নিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন বলা হচ্ছে, ১০ তারিখে জনসভা হবে। অনুমতি চাইছে, তারাই বলছে আমাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সেখানে করলে আমরা অনুমতি দিয়ে দিবো। এখন মির্জা ফখরুল বলছেন আমরা ওখানে জনসভা করবো না; করবে নয়াপল্টনে। নয়াপল্টন কি জনসভা করার জায়গা? নয়াপল্টন হচ্ছে গাড়ি চলাচলের জায়গা। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কথা এখানে চিন্তা করতে হবে। তারা নয়াপল্টনে একটি সভা করে ঢাকা শহরে গোলযোগ করতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি আন্তরিক। উন্নয়ন বলে শেষ করা যাবে না। তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ তৈরি করা হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্যই এই নৌপথ। তিনি প্রত্যেকটি মানুষকে গৃহের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিশু স্কুলে যায়। এই পটুয়াখালীতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন। এ অঞ্চলের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য তিনি ক্যান্টনমেন্ট করেছেন। পায়রা বন্দরের পাশে নেভাল বেইজ স্থাপন হয়েছে। আগামী বছরে সেটা উদ্বোধন হবে। পায়রা বন্দর পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশ বদলে গেছে। এ চরাঞ্চলের মানুষ ইন্টারনেটে কথা বলে। ২০১২ সালে দুর্গম রাঙ্গাবালী উপজেলা হয়েছে। আপনারা এখন উপজেলার নাগরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাঙ্গাবালীকে রাঙিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের দাবি পানপট্টির (গলাচিপা) সঙ্গে রাঙ্গাবালীর ফেরি চালু। ইতোমধ্যে বিআইডাব্লিউটিসির চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা এখানে এসে গেছেন। আমি নিজেও এসব এলাকা ঘুরে গেছি। আমি আপনাদের কষ্টটা অনুভব করি। আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি অবকাঠামো হয়ে গেলেই ফেরি যুক্ত করে দিবো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব।