শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৮ আগস্ট ২০২৩

পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী

 পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ব্রিকস-এ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ ঢাকা পরবর্তী ধাপে এই উন্নয়নশীল অর্থনীতির ব্লকে অন্তর্ভুক্ত হতে আশাবাদী।

তিনি আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া (ব্রিক্স সদস্যপদ পেতে)। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি প্রথম ধাপ এবং পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেন, “এরই মধ্যে, আমরা কিছুটা সময়ও পেয়েছি।”

মোমেন বলেন যে, বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) একটি অংশ হিসেবে রয়ে গেছে যখন এনডিবি গত ১৫ বছরে ব্রিকসের একমাত্র বাস্তব ফলাফল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনেক ইস্যু আছে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক, এবং ভারসাম্য রক্ষার (ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত করা) বিষয় রয়েছে। তিনি বলেন, ভৌগোলিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা ছিল এবং আরও আগ্রহী দেশ ছিল কিন্তু তারাও (ব্রিকস) সদস্যপদ পায়নি।

ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর এবং ইথিওপিয়া ছিল সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত ছয়টি দেশ। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসার মধ্যে জোহানেসবার্গে শীর্ষ সম্মেলনে দুই দিনের আলোচনার পরে এই ঘোষণা এসেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।

ব্রিকস একটি ঐকমত্য-ভিত্তিক সংস্থা যার সিদ্ধান্তে সকল সদস্যদের একমত হওয়া প্রয়োজন। এই ব্লকটি মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীনের সমন্বয়ে বিগত ২০০৯ সালে গঠিত  হয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালে যোগ দেয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ এ বছর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়, প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে। তিনি বলেন, "আমরা ৩ হাজার জনের একটি তালিকা দিয়েছি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে পরিবারগুলো যেন বিচ্ছিন্ন না হয়।"

মোমেন বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করবে এবং আস্থা তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসবে।