শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের জানাজায় বিপুল সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ : আগামীকাল দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২৯ আগস্ট ২০২৩

সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের জানাজায় বিপুল সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ : আগামীকাল দাফন

 সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ সোমবার বাদ আসর নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল বাদ আসর নিজ বাড়ি আকুয়া মোড়লবাড়ি মসজিদে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তাঁর লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।

আজ বাদ আসর অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক এমপি, সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিভিন্ন  রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলের নেতা-কর্মী, ভক্ত-অনুসারীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাযায় অংশ নেয়। এসময় জানাযায় ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠে। কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের মরদেহ নেয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

জানাযা শুরুর আগে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রয়াত মতিউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তাঁকে দলের একজন ত্যাগী, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেইসাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জনপ্রিয় এই নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে শত শত নেতা-কর্মী বিভিন্ন পরিবহনে করে এসে জানাযায় অংশ নেয়। এর আগে মরদেহ তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠান আলমগীর মুনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকুর রহমান আতিক এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য মনিরা বেগম মনি, সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক সা্স্কংৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে এই নেতার লাশ নগরীর শিববাড়িস্থ আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে নেয়া হলে সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানায়। গত রোববার রাত এগারোটায় নগরীর নেক্সাস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের একমাত্র ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত বর্তমানে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ্য, এই বর্ষীয়ান নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক ও বঙ্গবন্ধু পদকে ভূষিত হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী নিয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন নগরীর আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুতে গোটা মহানগরীতে শোকের ছায়া নেমে আসে।