
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে পরিবহন টিকিট না পাওয়া কর্মজীবী মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছে নাটোর জেলা পুলিশ। বিনামূল্যে এসব যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে নাটোর পুলিশ লাইন্স এবং পুলিশ লাইন্স স্কুল থেকে দু’টি বাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে এই দু’টি বাস ছেড়ে গেছে। শুক্রবার বিকেলেও যাত্রী বোঝাই দু’টি বাস বিনামূল্যে কর্মজীবী মানুষদের ঢাকায় পৌঁছে দিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নাটোরে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসা অসংখ্য রাজধানীমুখী কর্মজীবী মানুষ জেলা সদরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনালে ভিড় করছিলেন। তাদের মানুষ গার্মেন্টসসহ অন্যান্য কল-কারখানার শ্রমজীবী মানুষ। সময়মত কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে চাকুরী হারানোর ঝুঁকি থাকে। কিন্তু বাস নেই, আবার বাস থাকলেও টিকিট নেই। অসহায় এসব মানুষ শুধু হাহাকার করছিলেন। টার্মিনালে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন নাটোরের পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসাইন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি কর্মজীবী মানুষের জন্য পরিবহনের উদ্যোগ নেন।
গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত হাজেরা খাতুন জানান, কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কোন পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার পাশেই ব্যাগ নিয়ে বসেছিলেন। পরে পুলিশ সুপার তাদের কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য বিনামূল্যে পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসাইন বলেন, কর্মস্থলে ফিরে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের পাশে জেলা পুলিশের থাকতে পারা অনেক প্রশান্তির। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার পাশাপাশি আমরা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই।
এদিকে, নাটোর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার জানান, প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং নাটোর থেকে ৩০০ কোচ ঢাকায় যাওয়া-আসা করে। ঈদে এ সংখ্যা আরো একশ’ মত বৃদ্ধি পায়। তবে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে যাত্রী পরিবহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।