মঙ্গলবার,

২৩ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১০ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আজাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৪ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ০৮:০৫, ১৪ আগস্ট ২০২২

সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আজাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)  মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়াগেছে।

 এ বিষয়ে কলেজের অধ্যাপক/প্রভাষক ও কর্মচারীদের সাথে গত ৩১.০৫.২০২২খ্রি. তারিখ, রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় উক্ত কলেজের সভা কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার উপস্থিত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), অধ্যাপক/প্রভাষক ও কর্মচারীদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায় যে, সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজের এর মালিকানাধীন ১০-১২টি দোকান রয়েছে যা ভাড়া দেওয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজাদের কাছে এ বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন এবং তার কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। নির্ধারিত কোন একাউন্টে অর্থ জমা হয় তার ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেনি। তার বক্তব্যমতে এই অর্থ দিয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়; যদি উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে একাউন্টে জমা হয়; তবে সর্বশেষ কবে একাউন্টে জমা হয়েছিল তার প্রমান দেখাতে পারেননি। উপস্থিত সকল শিক্ষকই জানান যে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ বিষয়টি একাই দেখভাল করেন। এ বিষয়ে তার কোন হিসাব জানেনা।

মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জাগঞ্জ,পটুয়াখালী বিগত ০১ বছরকালীন সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রী কলেজ, এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কলেজের স্থায়ী সম্পত্তি, বিভিন্ন আয়ের উৎস সম্পর্কে সভাপতিকে অবহিত করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজাদ ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করেন; কিন্তু আয়ের কোন যৌক্তিক হিসাব বিবরণী এ পর্যন্ত দাখিল করেননি। এমনকি বিভিন্ন স্তরের/বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি, ফরম ফিলাপ, পরীক্ষা সংক্রান্ত আয়-ব্যয় কোন হিসাবাদি সভাপতি বরাবর দাখিল করেন না।

অভিযোগ রয়েছে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া স্বত্ত্বেও এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেন নি। জানা যায় কলেজের কিছু শিক্ষককে নাম মাত্র কমিটির সদস্য বানিয়ে এটি খরচ করে থাকেন এবং সরকার নির্ধারিত  অংশ সংশ্লিষ্ট ফান্ডে জমা প্রদান করেন। অথচ আর্থিক স্বচ্ছলতার ক্ষেত্রে সকল উৎস আয়ের অংশ নির্ধারিত একাউন্টে জমা করতে হবে এবং নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে ব্যয় অনুমোদন পূর্বক উত্তোলন করা যাবে। এ সকল বিষয়াদি নিয়ে একাধিকবার কলেজ কোন সভা কিংবা শিক্ষকদের সাথে মাসিক, ত্রৈমাসিক আলোচনা সভা করতে চাইলেও বিষয়টি তিনি নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান বা  অনিহা প্রকাশ করেন।

 

তদপ্রেক্ষিতে গত ৩১.০৫.২০২২খ্রি. তারিখ স্বপ্রনোদিত হয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে এক সভা আহবান করা হয়। সভায় আলোচনা প্রাক্কালে এই বিষয়গুলো প্রতিভাত হয়। তদুপরি কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানদি (জাতীয় দিবস ব্যতীত অন্যান্য অনুষ্ঠান) আয়োজন করা হয়; যা সভাপতিকে অবহিতকরণ কিংবা আমন্ত্রণ ও জানানো হয়না। একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজাদ যা সভাপতি অবগত নন।  কলেজ পরিচালনাকারী সভাপতি হিসেবে এটি আসম্মানজনক। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক এরূপ অসম্মানজনক, অশোভনীয় এবং প্রতিহিসংসামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ কলেজ পরিচালনাকারী/সভাপতির দায়িত্ব পালনকে বাধাগ্রস্থ করছে।

এ ছাড়া গত ৩১.০৫.২০২২খ্রি. তারিখ অনুষ্ঠিত সভার একটি কার্যবিবরণীর খসড়া উপস্থাপন করতে একাধিক বার তাগিদ দেয়া স্বত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজাদ তা উপস্থাপন করেন নি। সার্বিকভাবে উক্ত কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি নিরিক্ষা টিম/অডিট টিম গঠনপূর্বক বিগত ০৩ (তিন) বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করা সমীচিন হবে মর্মে মনে করেন মির্জাগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস । এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এইরূপ অশোভনীয় এবং বিধি লংঘনীয় আচরণের বিষয়ে ব্যাখা চাওয়া যেতে পারে।

গত ২২/০৬/২০২২ ইং তারিখে মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জাগঞ্জ,পটুয়াখালী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর,ঢাকা, কলেজ পরিদর্শক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,গাজীপুর,ঢাকা ও জেলা শিক্ষা অফিসার পটুয়াখালী বরাবরে প্র্রেরণ করেছেন। যার স্মারক নং ০৫.১০.৭৮৭৬.০০০.০৬.০০১.২১-৫০০ তাং ২২/০৬/২০২২ ইং।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন “এসব বিষয়ে তার কোন কিছু জানা নেই”। একথা বলেই তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।