
মতিউর রহমান চৌধুরী সম্পাদিত মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘নগদ’ এ দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্টটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, প্রকাশিত রিপোর্টটি আসলে গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহকৃত এবং প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা সংস্থার ‘চোতা’ কীভাবে অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়!
২. লোকজনের প্রশ্ন এবং বিস্ময় দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে এই প্রথম গোয়েন্দাদের সরবরাহকৃত কোনো ’চোতা’ রিপোর্ট হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, আগে আর কখনিই হয়নি।
বেশি দূরে না গিয়ে জুলাই-আগষ্ট পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে কতো শত শত এই রকম ’চোতা’, অনেক ক্ষেত্রে মৌখিক ব্রিফিংথেকেই তথাকতিথ অনুসন্ধানী রিপোর্টট ছাপা হয়েছে?
৩. শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের অর্থ পাচার, দুর্নীতি, ব্যাংকের হিসাব সংক্রান্ত যতো রিপোর্ট পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- তার একটিও এখনো সরকারিভাবে প্রমাণিত হয়নি। সেগুলোও কী গোয়েন্দা সরবরাহকৃত ছিলো না? সেগুলো নিয়ে কিন্তু কেউ প্রশ্ন তুলেননি। এখন গোয়েন্দাদের সরবরাহ করা ‘চোতাকে’ রিপোর্ট হিসেবে প্রকাশ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?
৪. সাংবাদিকতার অঙ্গীকার হচ্ছে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করা। রাজনৈতিক বিবেচনায় সংবাদ পরিবেশন করলে গোয়েন্দা সংস্থা কেন- রাজনীতিকদের ব্রিফিংও অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়ে যেতে পারে।