সোমবার,

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩২

XFilesBd

কবে নাগাদ ফিরছেন তারেক রহমান !

সুমন বিশ্বাস

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কবে নাগাদ ফিরছেন তারেক রহমান !

সাম্প্রতিক সংবাদমাধ্যম ও দলের শীর্ষ নেতাদের ঘোষণার মিলিত চিত্র বলছে যে বিএনপির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান “শীঘ্রই” দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন বা দলের কাছ থেকে এমন ঘোষণাই বেরোচ্ছে। একাধিক সংবাদে (BNP নেতা-বর্গের কথ্য) বলা হয়েছে তিনি ফিরবেন অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৫ পরবর্তী সময়ে বা যখন নির্বাচন-তারিখ ঘোষণা করা হবে — তবে স্পষ্ট, একক, আনুষ্ঠানিক যাওয়া–আসার তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।   আইনি ও নিরাপত্তা কাঠামো এ সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলবে। ঐতিহাসিকভাবে তার বিরুদ্ধে থাকা সাজা-কেসগুলোর বিষয়ে সাম্প্রতিক আপডেটগুলোও গুরুত্বপূর্ণ: অভিযোগিত মূল কেসগুলোতে (উল্লেখযোগ্য: ২০০৪-এর গ্রেনেড হামলা মামলা) আপিল বিভাগে কিছু উচ্চ ন্যায়িক সিদ্ধান্ত ও আংশিক রায় এসেছে—এই ধরণের বিচারিক আপডেটই তার যাতায়াতকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া সরকারী দিক থেকে সুরক্ষা ও চলাচল সংক্রান্ত বাছাইকৃত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা দেখা যাচ্ছে—হোম মন্ত্রণালয়/অথচ সাবেক মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ও সরকারি প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো একাধিকবার উঠে এসেছে। এই আইন-নিরাপত্তার প্রাসঙ্গিকতার ওপরই তার “শীঘ্রই” ফেরার বাস্তবতা নির্ভর করবে।  

সংবাদ বিশ্লেষণ করে সময়রেখা-সম্ভবতাঃ কিছু সংস্থা এবং BNP নেতারা বলছেন ‘পরের কয়েক সপ্তাহে’ ফেরার ইঙ্গিত আছে; আবার অন্য বিশ্লেষক ও একটি আন্তর্জাতিক নিউজ সিরিজে মিড-রেঞ্জ অনুমান করা হয়েছে যে তিনি নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যায়ে দেশে ফিরে আসতে পারেন — কিন্তু এ অনুমানগুলো অংশবিশেষ রাজনৈতিক ইচ্ছা, নির্বাচনী সূচি ঘোষণা এবং আইনি/ডকুমেন্টেশন (যাত্রার অনুমতি, ভিসা/পাসপোর্ট, গ্রিয়েন সিগন্যাল)–এর ওপর ভিত্তি করে। তাই আজ (১৫ সেপটেম্বার ২০২৫) ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে বলা যায়: “চূড়ান্ত তারিখ অনিশ্চিত; মিড-শেষ বছরের (নভে–ডিসে ২০২৫) এক সম্ভাব্যতা বেশে ওঠেছে, কিন্তু তা নিশ্চিত নয়।”  

তার ফেরার সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রভাব (সংক্ষেপে পরিস্থিতিগত দৃশ্যপটে তিনটি মূল পথ) — (১) দ্রুত উত্তেজিত গণজমায়েত ও দ্রুত সহায়তাকারী ভোটিং-বহু হলে বিএনপির মনোবল এবং প্রচারণা ত্বরান্বিত হবে; (২) সরকার ও প্রতিপক্ষের প্রতিক্রিয়া যদি কড়া হয় (ধারণা করা হয় — আইনগত রক্রিয়া, অচলাবস্থা, বা মহড়া), তবে তা দেশীয় রাজনৈতিক উত্তাপ ও অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে; (৩) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কোনো ফেরার ধরন, নিরপেক্ষ নির্বাচন-পরীক্ষক ও প্রতিবেশী দেশের প্রতিক্রিয়ার ওপরও নির্ভর করবে — যদি ফিরেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা সরল এবং পর্যবেক্ষকরা সন্তুষ্ট হন, BNP-র ক্ষমতাসীন হওয়ার পথ সহজ হতে পারে; আবার যদি ফেরাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ও বিধিগত বাধা তৈরি হয়, তা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের বক্তব্য থেকে দেখা যায় যে সম্ভবত তিনি ফিরলে নির্বাচন-পরবাস্তবতায় (election dynamics) তা একটি বড় টার্নিং-পয়েন্ট হবে।  

রাজনৈতিক কৌশল ও বাস্তবসম্ভাব্যতা: বিএনপি বাহিনী ও সমর্থকরা তার ফেরাকে নির্বাচনি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করবেন — প্রচারণায় তার উপস্থিতি দলের ঐক্যকেন্দ্র সুদৃঢ় করবে এবং ভোটমুখী কর্মসূচি ত্বরান্বিত করবে। তবে বাস্তব ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য (ক) নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বৈধতা, (খ) সম্ভাব্য আরেকটি মসৃণ ক্ষমতা-হস্তান্তর প্রক্রিয়া, এবং (গ) অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের রাজনৈতিক হালচালের সমন্বয়—এই তিনটি বাধা ও শর্তই মূল। যদি কোনো একটিতে বিঘ্ন পড়ে (উদাহরণ: আদালতে নতুন প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক মনিটরদের তীব্র প্রতিবাদ, বা নিরাপত্তা-ঘটনা), তাহলে ক্ষমতায় ওঠার পথ জটিল হবে। এই বিশ্লেষণে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ও স্থানীয় দলীয় বিবৃতি দুটিই প্রাথমিক উৎস হিসেবে কাজে এসেছে।  

ঝুঁকি ও অস্পষ্টতা: (ক) মিডিয়া রিপোর্ট এবং দলের বক্তব্যে “শীঘ্রই” শব্দটি ব্যবহার করা হলেও তা রাজনৈতিক মেসেজিংও হতে পারে—তাই সময়সূচি রাজনৈতিক প্রয়োজনে পরিবর্তিত হবে; (খ) তার ফেরায় নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা সরকারি পর্যায়ে হয়েছে বলে ছোটখাটো খবর এসেছে—এই ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, তাও অনিশ্চিত; (গ) যদি ফেরার সময় বা পদ্ধতি নিয়েই আদালত বা প্রশাসন-স্তরে বাধা আসে, তা ফেরার পরিকল্পনা পিছিয়ে দেবেও পারে।