শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

ওপারে ভালো থেকো বাংলার রোমান্টিক হিরো সালমান শাহ

তানভীর সুমন

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ওপারে ভালো থেকো বাংলার রোমান্টিক হিরো সালমান শাহ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো দেশ। ক্ষণজন্মা এই নায়কের  জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, দড়িয়াপাড়ায়। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিনেমার জন্যই তিনি সালমান শাহ নামটি ধারণ করেন। স্বল্প সময়ের অভিনয় জীবনে, মাত্র চার বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে ১৯৯০'র দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আলোড়ন তুলেছিন তিনি। ২৭টি সিনেমার বেশিরভাগই ছিল আলোচিত এবং ব্যবসা সফল।

অকালমৃত্যুর পরেও , এত অল্প সময়ে ঢাকাই সিনেমাকে বিস্মিত করেছিলেন, জনপ্রিয়তার নতুন মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ। সেই ‘স্বপ্নের নায়ক’কে এমন সহসা হারিয়ে ফেলে নিঃসন্দেহে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল পুরো  ইন্ডাস্ট্রি। তাই সালমান শাহ যেন ঢালিউড প্রেমীদের কাছে স্বপ্নের নায়ক। সে সময় সারা দেশজুড়ে সালমানের অসংখ্য ভক্ত তাঁর মৃত্যু মেনে নিতে না পারায়,  বেশ কয়েকজন তরুণী আত্মহত্যা করেন বলেও খবর আসে পত্রিকায়।

ওপারে চলে গিয়েও যাদের মাধ্যমে এখনও ‘জীবন্ত’ সালমান শাহ, সেই ভক্তদের অনেকেই প্রতি বছর এই  দিনে বিশেষভাবে স্মরণ করেন, স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহকে। ভক্তরা জানান  প্রিয় নায়কের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা থেকেই এসব করছি এবং ভবিষ্যতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।’

এই প্রিয় নায়কের ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কারণ সেসব প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
 করেছিলেন।

সুদর্শন চেহারা আর মনে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে শোবিজে আসেন সালমান শাহ। শুরুটা হয় ১৯৮৫ সালে বিটিভির নাটক ‘আকাশ ছোঁয়া’ দিয়ে। এরপর বেশ কয়েকটি খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে তাকে দেখা গেছে। 

সিনেমায় সালমান শাহর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৩ সালে, সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে। প্রথম ছবিতেই সাফল্য পান সালমান শাহ, রাতারাতি হয়ে ওঠেন তারকা। একের পর এক সিনেমার অফার আসতে শুরু করে ।তখন থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলার এই প্রিয় নায়ককে।

পরবর্তীতে অভিনয় দক্ষতা ও কাজ করার দৃঢ়তার পাশাপাশি,  নজরকাড়া ফ্যাশন, সুদর্শন চেহারা আর দক্ষ অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নতুন প্রজন্মের অনেক নায়কই তাকে আদর্শ মেনে অনুসরণ-অনুকরণ করেন। 

সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ ইত্যাদি।

মৃত্যুর এত বছর পরেও ভক্ত অন্তরে  উজ্জীবিত, চিরজীবনা  খন্ডকালীন এই মহানায়ক নায়ক। তাইতো তাকে স্মরণ করে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে নবীন প্রজন্ম। কারণ তিনি যে স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ। তাইতো, তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকবে বাংলার কোটি মানুষের হৃদয়ে।