ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার (৩ মে) সকাল পর্যন্ত এ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ভারতের রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে শোকপ্রকাশ করেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন। সর্ব শেষ পরিস্থিতির খবর রাখছেন। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও টুইট করেন, ‘ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যান্য দলও উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ছুটে গিয়েছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
শুক্রবার রাতে উপ-হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হটলাইনের কথা জানিয়েছে।