
কখনো কমছে, কখনো বাড়ছে সোনার দাম। কথাবার্তায় সোনা নিয়ে কতো যে কথোপকথন । তবু সোনা সোনাই। টাকার অংকে নয়, যুগের পর যুগ ধরে সোনার মান তাই দামিই থাকলো আমজনতার কাছে। সেই সোনা যা কিনা এতো মূল্যবান তা এবার একা একা উঠে আসছে উপরে।
পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে পৃষ্ঠভাগে উঠে আসছে সোনা। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কৌতূহল ।
সোনার সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এক ৯৯ দশমিক ৯৯৯ শতাংশেরও বেশি সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ভাণ্ডার তিন হাজার কিলোমিটার নিচে চাপা পড়ে আছে। নতুন একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মানুষের নাগালের বাইরের সেই অঞ্চল থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতু ভূপৃষ্ঠের দিকে উঠে আসছে।লিথোস্ফিয়ারের গভীর থেকে বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরির শিলা থেকে বেরিয়ে আসা আইসোটোপের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এই বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়েছে। জার্মানির গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয়গিরির শিলাগুলোতে রুথেনিয়াম এর চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। তাদের ভাষ্য, এই শিলা অবশ্যই পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে এসেছে। তারা শিলাগুলোতে রুথেনিয়াম-১০০ খুঁজে পেয়েছেন, যা ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হওয়ার সময় পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সাথে আটকে ছিল বলে মনে করা হয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠের লাভাগুলাতে অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ রুথেনিয়াম-১০০ সংকেত পাওয়া গেছে।গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিভাগের ড. নিলস মেসলিং বলেছেন, “প্রথম ফলাফল আসার পর, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা আক্ষরিক অর্থেই সোনার সাথে যোগাযোগ করেছি! আমাদের তথ্য নিশ্চিত করেছে যে সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুসহ উপাদানগুলো কেন্দ্রস্থল পৃথিবীর উপরের আবরণে উঠে আসছে।”
তবে তা কতোদিনে কিভাবে মানুষের সহজেই নাগালে আসবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু এখনই বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা । সুতরাং সোনার যে অতিমূল্যবান স্বভাব ও রহস্যময়তা তা ঠিকই থাকছে!!!