
দেশে যাত্রা শুরু করল এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ নামে নতুন একটি সংগঠন। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি জেনারেল সেলস এজেন্টদের সংগঠন এটি।
রাজধানীর শেরাটন হোটেলে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির লোগো উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুনজুর করীর ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্যে তিনি এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০ টিরও বেশি বিদেশি এয়ারলাইন্স তাদের জিএসএদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রাথমিকভাবে ফোরামের সদস্য হয়েছেন ২৮ টি জিএসএ কোম্পানি, যারা ৫০ টির বেশী বিদেশী এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফোরামের উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করছেন, বাকি জিএসএ কোম্পানিরাও দ্রুত সদস্যপদ গ্রহন করবেন।
অনুষ্ঠানে এভিয়েশন খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টাস গ্রুপের পরিচালক মুজাক্কের হক। এতে বলা হয়, এয়ারলাইন্স সমূহ বাংলাদেশ থেকে ৩০ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে, বছরে কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে বিমান সেবা দিচ্ছে এবং কমপক্ষে আড়াই লাখ টন কার্গো পরিবহন করছে। বিমান পরিষেবা ব্যাবসার সঙ্গে ছোট বড় প্রায় ৫ হাজার উদ্যোক্তা জড়িত এবং এই খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের।
দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্দের প্রতিনিধিরা জিএসএ ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্য সস্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত জিএসএ কোম্পানী সমুহ এবং সংশ্লিষ্ট এভিয়েশন শিল্পের স্বার্থে এয়ারলাইন্স জিএসএদের প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করা। এছাড়া ন্যায্য ও অগ্রসরমান বিমান চলাচল নীতিমালার পক্ষে সরকারি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকা। প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে জিএসএ এবং এভিয়েশন পেশাজীবীদের জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও এয়ারলাইনের কাছে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় এভিয়েশন হাব হিসেবে উপস্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
অনুষ্ঠানে এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরামের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খালেদ ইউসুফ ফারাজী, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ডন, সোহাগ হোসেন, এম এ লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী, মিজানুর রহমান এবং মুজাক্কের হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, মাহবুবুল আনাম, রাজীবুল হক চৌধুরী, শাদাত হোসেন, ইয়ামি এম সালেহ, ইউসুফ ওয়ালিদ ও তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।