করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর শারীরিক ধকল সামলাতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে লিওনেল মেসির। বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে পিএসজিতে ফেরার মুহূর্তে মেসির পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে আইসোলেশনে কাটাতে হয়। অবশ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন অনেক আগেই। তবে মেসি ভক্তদের জন্য এখনই সুখবর দেওয়ার অবকাশ নেই। আসছে ২৭ জানুয়ারি চিলি ও ফেব্রুয়ারির প্রথমদিনে কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে।
মেসির সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার বিষয়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে পিএসজির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই করোনা ও চোটের সঙ্গে লড়াই করা এলএম টেনকে যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দলে টানা না হয়, সেজন্য আর্জেন্টিনাকে অনুরোধ জানিয়েছিল পিএসজি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাবেক বার্সা তারকাকে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দলে স্থান দেননি আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ইতোমধ্যে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের টিকেট কেটে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। তাই বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচ নিয়ে দলটির অতি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন খুব একটা নেই। যার প্রেক্ষিতে মেসিকে না খেলানোর জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অনুরোধ করেছিল পিএসজি।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে পিএসজি। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে মেসিকে যেকোনো মূল্যে খেলাতে চায় প্যারিসিয়ানরা।
প্যারিসে উড়াল দেওয়ার পর পিএসজির মাঠে গড়ানো ২৬টি ম্যাচের ভেতর ১২টিতে ম্যাচেই খেলতে পারেননি মেসি। স্বাভাবিকভাবেই সতীর্থদের সঙ্গে রসায়ন তৈরি না হওয়ায় নিজের সেরা ছন্দে নেই তিনি। তার উপরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে নেইমার। আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তাই পুরোপুরি কাঁধে চেপেছে কিলিয়ান এমবাপের।
শুধুমাত্র মাঠের দক্ষতায় নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার অভিজ্ঞতার কারণে মেসিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ভাবা হয়ে থাকে। এসব বিষয়কে মাথায় রেখেই আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়মিত মাঠে পাওয়ার দিকেই মনযোগী হয়েছে পিএসজি।