ছবি: সংগৃহিত
মূল কাজটা করে দিয়েছেন বোলাররাই। নিউজিল্যান্ডকে তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট করে বাংলাদেশের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে দেন তারা। লক্ষ্য ছিল মাত্র ৬১ রানের।
মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল টাইগাররা। ৭ রানের মধ্যে হারিয়ে বসেছিল ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত আর মিরাকল ঘটিয়ে কিছু করতে পারেনি কিউইরা।
৫ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। যে জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
এটিই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডবধ। এর আগে দশ ম্যাচের প্রতিটিতেই হার দেখতে হয়েছিল টাইগারদের।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দেন দুই ওপেনার নাইম শেখ আর লিটন দাস। দুজনই ফেরেন সমান ১ রান করে। অভিষিক্ত ম্যাকঞ্চিকে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট কভারে ক্যাচ হন নাইম। অ্যাজাজ প্যাটেলের করা পরের ওভারে লিটন পড়েন স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে।
৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এমন পিচে যেভাবে দেখেশুনে খেলা দরকার, অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান সেভাবেই খেলেছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত দলীয় ৩৭ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন। ৩৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করে তিনি হন রবিন্দ্রর শিকার।
তবে বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিয়েছেন মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩১ বলে ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ১৪ আর মুশফিক ২৬ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে মোস্তাফিজ-সাকিব-নাসুমদের তোপে ১৬.৫ ওভারেই নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ৬০ রানে। যেটি যৌথভাবে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর।