শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারেক রহমান : নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২৪ আগস্ট ২০২৩

২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারেক রহমান : নানক

 আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাপ ক্যা বেটা তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত।

 তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে জড়িত হত্যাকারীদের খুনীদেরকে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি দিয়েছেন। বাপ ক্যা বেটা, তার পুত্র তারেক রহমান। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়িত্বপালনকারী মাওলানা তাজউদ্দিনকে রাতের বেলা পাসপোর্ট করে ছদ্মনামে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে পাকিস্তানে সরিয়ে দিয়েছেন। এরপরও তারেক রহমান কি প্রমাণ চান? আপনি যে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তাই সতর্ক হোন। যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষের উন্নয়ন অগ্রগতি শান্তি সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে চান; তাহলে বাংলার জনগণ রাজনৈতিকভাবে আপনাদের করব রচনা করবে।"

 আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নানক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

 বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় মদতে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য আর আপনাদের বক্তব্য এমন হয়ে গেছে, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না’। আপনাদের হাস্যকর বক্তব্য শুনে মানুষ আজকে আপনাদেরকে ধিক্কার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, "আপনাদের আব্বাজান তারেক রহমান হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নানকে দিয়ে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। যে আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে হামলা করেছিলেন, এই গ্রেনেড কেথায় তৈরি হয়? পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার করে।"

তারেক রহমান হাওয়া ভবন তৈরি করে সারাদেশে রক্তের হোলি খেলা খেলেছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা নানক বলেন, কাজেই আজকে বাংলার মানুষ আপনাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।

 দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। এটি শুধু মহিলা আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না; এই চ্যালেঞ্জ বাঙালি জাতির। এই উন্নয়ন এই অগ্রগতি চলবে, নাকি আবার সেই হাওয়া ভবন আসবে? আবার সেই বাংলা ভাই আসবে, আব্দুর রহমানরা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করবে?

 ২১ শে আহগস্ট গ্রেনেড হামলার নিহত আইভী রহমান এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণও করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

 আইভী রহমান সম্পর্কে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করেন তার মেয়ে তানিয়া বখত। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মৃত্যু নিয়েও বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম উপহাস করেন। কতটা অমানবিক হলে কতটা রচিহীন মানুষ হলে এই ধরনের উপহাস করতে পারে। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল?

 তিনি বলেন, আপনাদের সত্য বলার সাহস নেই। কিন্তু অনর্গল মিথ্যা কথা বলবেন না। এটা আমরা যারা সেদিন স্বজন হারিয়েছি তাদেরকে উপহাস করা হয়। দয়া করে উপহাস করবেন না। সবকিছুর একটা শেষ আছে। আপনাদের উপহাসের বিচার নিশ্চয়ই আপনারা পাবেন।

 মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন শবনম জাহান শিলা। সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা আওয়ামী লীগের নাসিমা ফেরদৌস, আসমা জেরীন ঝুমু, মিনা মালেক, আনার কলি পুতুল ও রোজিনা নাসরিন রোজি।