বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫

|

কার্তিক ৮ ১৪৩২

XFilesBd

সরকারের উচ্চ মহলে চিঠি দিয়েছেন সাধারণ গ্রাহক

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। অপসারণের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৪:১৬, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। অপসারণের দাবি

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস মাহমুদা আক্তারকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যতম দোসর বলে অভিহিত করে তাঁর পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন সাধারণ গ্রাহক। এমন একটি চিঠি সরকারের উচ্চ মহলে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দেয়াও হয়েছে। যাতে মিসেস মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।  সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস মাহমুদা আক্তার বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যতম দোসর হিসেবে তিন বছর যাবত কোম্পানির দায়িত্ব পালন করছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও তিনি ও আরও কিছু ব্যক্তি অপরাপর কোম্পানির সিইওগণ স্বপদে বহাল রয়েছে।

চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের অন্যতম "আইসিবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের" বর্তমান কমিটির মূল নেতা, আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ও আইসিবি এএমসিএল-এর সিইও মিসেস মাহমুদা আক্তার ১৯৯৫ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে আইসিবিতে যোগদান করেন। জানা যায়, তিনি ২০১১ ও ২০১৭ সালে এজিএম ও ডিজিএম পদোন্নতির ক্ষেত্রে আওয়ামী সরকারের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার সিনিয়র বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি নিয়েছেন। পুজিবাজারের দরবেশ হিসেবে খ্যাত সালমান এফ রহমান এবং নাফিস সরাফত গং এর সহযোগী হিসেবে আইসিবিতে সমগ্র অপকর্মের হোতা ছিলেন এই মাহমুদা আক্তার। আইসিবিতে ডিজিএম (এডমিন) হিসেবে থাকাকালীন তিনি দলীয় কারনে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক-এর অন্যতম কারিগরের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী মো: ফখরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। যে কারণে গত ১৬ বছর বিভিন্ন চীফ হুইপ- মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পিএসদের ক্ষমতা ও দাপট দেখিয়েছেন। অবৈধ অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে আবারও সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি নিয়ে তিনি মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি নেন। এমনকি সেই দাপটেই আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও পদ বাগিয়ে নেন। জনগনের ক্ষোভ থাকার কারণে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা তার স্বামীর নামে বরাদ্দ সরকারি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সেই মাহমুদা আক্তার এখনো বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছেন। এমনকি তা ২৫/৩০ টি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী পুঁজিবাজারে সর্বাধিক প্রভাবশালী কোম্পানি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও হিসেবেই। তিনি এখনো আইসিবির হাসিনা লীগের নেতাদের আর্থিক সহায়তা করে ক্ষমতা নিজেদের আয়ত্বে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে মিসেস মাহমুদার সাক্ষাতকারের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা হয়েছে। ফোন করা হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত ফোনে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়েও কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। কেনো না তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি একজন অদক্ষ কর্মকর্তা। গত দুই বছর আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সকল মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে কোনোরূপ ডিভিডেন্ট না দেয়ায় বিনিয়োগকারীগণ ব্যপক আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হন এবং বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী তার অপসারন দাবি করছেন। এমতবস্থায়, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট বিবেচনায় নিয়ে মাহমুদা আক্তারকে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদ হতে (অন্যান্য সিইওসহ) অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন সাধারণ গ্রাহক। জুলাই ছাত্র জনতার পক্ষে স্বাক্ষরও করেছেন একজন গ্রাহক। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আবারও এই সেক্টর নড়বড়ে হবে, দেখা দেবে চরম অনিশ্চয়তা।