শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ব্যবহার ভয়াবহ আকারে বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ব্যবহার ভয়াবহ আকারে বাড়ছে

দেশে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ব্যবহার ভয়াবহ আকারে বাড়ছে উল্লেখ করে ওষুধের ব্যবহার ও নানাবিধ প্রয়োগে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে চিকিৎসকরাও অপ্রয়োজনীয় নানা ওষুধ সেবনে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস-২০২২ উপলক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আয়োজিত ‘ক্ষতি ছাড়া ওষুধ, বিশ্বব্যাপী রোগীর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে ওষুধ অনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। রোগীরা নিজেদের পছন্দমতো ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে খাচ্ছেন। আবার অনেক চিকিৎসকও অপ্রয়োজনীয় নানা ওষুধ সেবনে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় ওষুধের ব্যবহার ও নানাবিধ প্রয়োগে উভয়পক্ষকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ওষুধের ব্যবহার কমাতে হবে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলেন, এটা ভয়ংকর বিষয়। ওষুধ ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা দেখি যে এখন অনেক মেডিসিনেই নেফ্রটক্সিক উপাদান পাওয়া যায়। এটি যা সিকেডি হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে আমার আবেদন থাকবে, বিষয়টি যেন কঠোরভাবে দেখা হয়। কারণ, এটি মানুষের মধ্যে কিডনি রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদের প্রধান ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘একজন ফার্মাসিস্টকে বাদ দিয়ে ড্রাগ সেফটি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা ফার্মাসিস্ট কাদের বলি, যারা গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট। তিন মাসের ট্রেনিং দিয়ে ড্রাগ সেফটি নিয়ন্ত্রিত হয়? সি গ্রেডের ফার্মাসিস্ট বিশ্বের কোথাও নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রোগীদের ওষুধ দেওয়ার কাজটি করেন একজন ফার্মাসিস্ট। এরপর খাওয়ার বিষয়টি দেখেন নার্স। কিন্তু আমাদের এখানে কোনোটাই কার্যকর নেই। এক্ষেত্রে প্রত্যেককেই সচেতনতা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

ওষুধের কোয়ালিটি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই তার ড্রাগের কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট থাকে না। ওষুধের দায়িত্ব দেওয়া হয় চিকিৎসককে। কিন্তু তিনি নানা ব্যস্ততায় সময় দিতে পারেন না। যে কারণে ওষুধের ব্যবহারটা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, ‘আমরা অনেকেই চেম্বারে রোগী দেখি। সেখানে রোগীকে ওষুধের বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের পক্ষে তা হয়ে উঠে না। প্রতিনিয়ত ও আমাদের এত সংখ্যক রোগী দেখতে হয়, যে এটা অনেকটাই কঠিন। পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসকের সংখ্যাও রোগীর তুলনায় অনেক কম।’

ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, ‘অনেক ওষুধের নামই একদম পাশাপাশি রকমের হয়। এতে রোগীদের বুঝতে সমস্যা হয়। বিষয়টি ওষুধ প্রশাসনকে দেখতে হবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক রোগী আরেক রোগীর বেডে গিয়ে বসে আছেন, গল্প করছেন। এই অবস্থায় একজনের ওষুধ গিয়ে আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রোগী জানেনও না। এক্ষেত্রে আইডেন্টিফিকেশন জরুরি।’