
দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌ- পথে চলাচলের যাত্রী সেবায় নিয়োজিত অন্য তম আরামদায়ক মাধ্যম হচ্ছে ফেয়ারী সিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালনাধীন জাহাজ এম ভি তাসরিফ সিরিজ । দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জ, ভোলা, দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন, মঙ্গলসিকদার, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাতিয়া নৌ- পথে অত্যান্ত শুনামের সহিত যাত্রী সেবা দিয়ে আসচ্ছে। হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ রুট পারমিট স্থগিত ঘোষণা করে গত ১৬ /০৩/০২৩ ইং তারিখ মোঃ আবু ছালেহ কাইয়ুম উপ-পরিচালক (নৌনিট্রা) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে, চিঠি স্বাক্ষর কারির সাথে যোগাযোগ করলে জনাব কাইয়ুম বলেন উপরের নির্দেশে এই চিঠি জারি করা হয় আমি এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবোনা, প্রয়োজনে পরিচালক অথবা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কর্তৃপক্ষ নৌ- রুটে চলাচল কারী যাত্রী সেবায় নিয়োজিত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোন আদেশ অমান্য করলে সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিধান নৌ-নিরাপত্তা আইনে বলা আছে। অথবা কারন দর্শানোর নোটিশ দিতে পারে। কিন্ত অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ সেটি না করে ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের মালিকানাধীন তাসরিফ জাহাজ কর্তৃপক্ষকে, দ্রুত গতিতে লঞ্চ চলাচলকারী মর্মে অভিযোগ এনে তাসরিফ সিরিজের সকল লঞ্চের টাইম টেবিল বাতিল করেন। এমন অভিযোগে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত লঞ্চের টাইম বাতিল করার এখতিয়ার আছে কিনা? অথচ কয়েক মাস পূর্বে গোলাম কিবরিয়া টিপু কোম্পানির ফারহান -৫ বেপরোয়া গতিতে উলানিয়া এবং তজুমদ্দিন এলাকায় তাসরিফ - ২ কে ধাক্কা দিয়ে জাহাজের ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও বহু যাত্রী আহত করেন। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পরে সাধারণ ২০ থেকে ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয় যা সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয় । এই ভাবে একাধিক বার গোলাম কিবরিয়া টিপু কোম্পানির লঞ্চ গুলো বেপরোয়া গতিতে তাসরিফ সিরিজের একে একে সকল লঞ্চ গুলোকে ধাক্কা দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নিকট তাসরিফ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। যে অভিযোগের ভিত্তিতে লঞ্চ গুলোর পারমিট স্থগিত করা হয়েছে তা প্রামানিত নয় বলে জানিয়েছেন তাসরিফ কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় যে অভিযোগ কর্তৃপক্ষ দেখিয়েছেন, তার আলোকে তাসরিফ কর্তৃপক্ষকে কোন চিঠি বা কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয় নাই। যা বিআইডব্লিউটিএর (২) এর উপবিধি ( ১) উল্লেখ স্পষ্ট উল্লেখ আছে। বরিশাল গামী এম ভি সুন্দরবন ১৬ লঞ্চকে তাসরিফ লঞ্চ ধাক্কা দিয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন এবং বললো বিআইডব্লিউটিএ তাদেরকে বার বার ফোন দিয়ে বলেছে তারা যেন তাসরিফ লঞ্চের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দেয়। ভোলা তথা উপকূলের ত্রিশ লক্ষ লোকের প্রানের দাবী জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত তাসরিফ সিরিজের সকল লঞ্চ গুলোকে পূর্বের টাইম টেবিলে ফেরত দেওয়ার।
তাসরিফ কর্তৃপক্ষ বলেন।
সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি, সাবেক বন ও পরিবেশন উপমন্ত্রী জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, জনাব নূরনবী চৌধুরী শাওন এমপি, জনাব আলী আজম মুকুল এমপি, জনাব পংকজ দেবনাথ এমপি, বেগম আয়েশা আলী এমপি ও মমতাজ বেগম এমপি এই জাহাজগুলোর রুটপার্মিটের জন্য সুপারিশ এবং ডিও লেটার দিলেও বরিশালের এক লঞ্চ মালিকের মনোপলি ব্যাবসা করার সুযোগ দিতেই অন্যায় আবদারের বলি হল তাসরিফ লঞ্চ গুলো।