শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০২:৪০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ

আগামীকাল কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।

সুপার ফোর পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে- পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেট এবং শ্রীলংকার কাছে ২১ রানে হেরে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের ফাইনালের দৌঁড় থেকে ছিটকে গেছে  বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও ফাইনালে খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। তখন অন্যান্য দলের ফলাফল এবং নেট রান রেট অনুকূলে থাকা প্রয়োজন ছিলো তাদের। কিন্তু শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের ৪১ রানের জয়ে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘন্টা বাজে বাংলাদেশের।

শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ভারতের। এতে পাকিস্তান-শ্রীলংকার ম্যাচটি অঘোষিত সেমিফাইনালে রুপ নেয়।
ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় আগামীকালের ম্যাচটি ভারতের কাছে নিয়মরক্ষার লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে দলের মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে বেঞ্চের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইবে ভারত।

অন্যদিকে, ফাইনালে উঠতে না পারলেও খালি হাতে দেশে ফিরতে চাইবে না বাংলাদেশ। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে ভারত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিকল্পনা করায়  জয়ের একটা  সুযোগ থাকতে পারে  বাংলাদেশের সামনে। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে শিরোপা জয়ের জন্য অন্যতম হট ফেভারিট ভারত।

কিন্তু দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীক সিরিজে ঘরের মাঠে ভারতকে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এটা ছিল ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের টানা দ্বিতীয় সিরিজ জয়।

হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ^কাপে  ছাড়া দেশের বাইরে ভারতকে কখনওই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের মঞ্চেও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচের দেখায় মাত্র ১টিতে জয় ও ১৩টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় রচিত হয়েছিলো।

যদিও এশিয়া কাপে বেশ কয়েকবার ভারতকে হারানোর খুব কাছে গিয়েও তরী  ডুবেছে  বাংলাদেশের। নিজেদের ভুল, ম্যাচ শেষ করতে না পারার ব্যর্থতা ও ভারতের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারনে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।
শ্রীলংকার কাছে হারের পর দেশে ফিরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয়বারের মত সন্তনসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে মুশফিক দেশে ফিরলেও, ব্যক্তিগত কারনে দেশে ফিরেন সাকিব।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন সাকিব। কিন্তু স্ত্রী এবং নবজাতক কন্যার পাশে থাকতে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছেন মুশফিক।

এতে দলের ইনফর্ম ব্যাটার মুশফিককে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। দলে মুশফিকের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই মুশফিক ভাইর না থাকাটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ তিনি  একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমরা  যারাই মুশফিকের জায়গায় খেলবো তার অভাব পূরণের চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও জানান, জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। হৃদয় বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টে টিকে থাকি বা না থাকি, সবসময় আমরা জয়ের জন্যই খেলি। আমরা ফাইনালের দৌঁড়ে নেই এটা অবশ্যই হতাশাজনক। কিন্তু তারপরও জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই আমরা।’

শ্রীলংকার কাছে হারের পর তিন দিন হোটেলে  সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। জিমে ঘাম ঝড়িয়ে এবং হোটেলে নিজেদের খুঁটিনাটি সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সেশন কাটিয়েছে খেলোয়াড়রা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলন শুরু করে তারা। এর মধ্যে  কিছু বার্তা দিয়ে চাঙ্গা রাখতে খেলোয়াড়দের সাথে আলাদা-আলাদা সেশন করেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। 
বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মাহেদি হাসান, নাইম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও এনামুল হক বিজয়।
ভারত দল : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শারদুল ঠাকুর, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণ।