শনিবার,

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

|

অগ্রাহায়ণ ২২ ১৪৩২

XFilesBd

সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবার

ফতুল্লায় ভুয়া মামলার শিকার হয়ে কারাগারে দিন পার করছে তরুণ উদ্যোক্তা সুমন হোসেন

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১১:৪৮, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ফতুল্লায় ভুয়া মামলার শিকার হয়ে কারাগারে দিন পার করছে তরুণ উদ্যোক্তা সুমন হোসেন

ঘটনা গেল শুক্গরবারের। নিজের বাড়ি থেকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার হয় সুমন। পরে ফতুল্লা থানা পুলিশ নিয়ে আসে নিজেদের কাছে। অতপর তাকে চালান করে দেয়। এর নেপথ্যের ঘটনা বেশ চাঞ্চল্যকার। 

সুমন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। সামাজিক নানা কর্মকান্ডের সাথে সে জড়িত। এলাকার উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার সাহায্য মূলক কর্মকাণ্ড। তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে পুরোদমে চলছে একাধিক মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এগুলোকে সহ্য করতে পারেনি একটি কুচক্রীমহল। সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ই আগস্ট এর পর নামধারী কিছু লোক ফতুল্লায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তান্ডব  চালাচ্ছে ব্যবসায়ীদের উপর। সেই চাঁদাবাজির অন্যতম গডফাদার বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী,  নির্মাণকাজ থেকে শুরু করে দোকান বসানো সবকিছুতেই চাঁদা দাবি করেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা। চাঁদা না দিলে থেমে যায় কাজ, চলে হামলা, পরে দেওয়া হয় সাজানো মামলা। আর সেই সাজানো মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সুমনকে। একে একে দুইটি ভুয়া মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ব্যবসায়ী সুমনকে।

উল্লেখ্য কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয় ব্যবসায়ী সুমন অথচ ৫ আগস্ট এর হত্যা মামলায় তার নাম জড়িয়ে দিয়েছে রিয়াদ মোহাম্মদ  চৌধুরী।এছাড়া নিজ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা হত্যার আসামিও করা হয় ব্যবসায়ী সুমনকে। অথচ সেই সময়ে সুমনের অবস্থান ছিল ঢাকায়।  সুমনের পরিবারের অভিযোগ ৫ আগস্ট পরবর্তী চাঁদার দাবিতে সুমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় বারবার হামলা চালিয়েছে রিয়াদ চৌধুরীর সাঙ্গপাঙ্গরা। চাঁদা না পেয়ে সাজানো মামলা দিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করায় রিয়াদ চৌধুরী। ঘটনার পর থেকেই সুমনের পরিবার এদিক সেদিক হন্যে হয়ে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই স্বস্তি কিংবা সমাধান মিলছে না। এ ব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।