শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিলো মন্ত্রিপরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ৯ আগস্ট ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিলো মন্ত্রিপরিষদ


 বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন, পরিবর্তন ও প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটি সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ হিসেবে চালু করা হবে। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

 সচিব জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা পরিবর্তন করে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন আইন পাস হলে আগেরটি বাতিল হবে।

 তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার মনে করেছে সাইবার অপরাধ অনেক হচ্ছে। তাই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অনেক ধারাকে সংযুক্ত করে নতুন আইনটি করা হয়েছে। এটায় আগের আইনের পরিবর্তন হয়েছে।

 নতুন আইন অনুযায়ী একটা সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি থাকবে। এছাড়া আগের আইনে জেলের বিধান বেশি ছিল। এখনকারটায় জরিমানার পরিমাণ বেশি রাখা হয়েছে, জানান সচিব।

 নতুন আইনে অজামিনযোগ্য ধারা-১৭, ১৯, ২১ ও ৩৩। আর জামিনযোগ্য ধারা- ১৮, ২০, ২২, ২৪, ২৬, ২৮, ২৯। ভেটিং (আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই) শেষ করে আবার ক্যাবিনেটে আসবে আইনটি।

 মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটাকে বাতিল বলা যাবে না। কারণ, ওই আইনের অনেক ধারা নতুন এই আইনে আছে। আগের আইনের অনেক ধারা আমরা সংশোধন করেছি।’

 তিনি আরও বলেন, ‘যেসব পরিবর্তন আসছে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানহানির মামলায় আগে জেল ও জরিমানার বিধান ছিল। জেলের বিধানটি বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।