চীন বাংলাদেশের মতো কোন দেশের কোন অভ্যন্তরীণ বিষয় বা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘চীন কোনো দেশের কোনো ব্যাপারে বা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। চীন মনে করে এটা সংশ্লিষ্ট দেশের এখতিয়ার। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এম এ মান্নান।
বৈঠকে তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীনের নীতি হচ্ছে তারা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ এটা সংশ্লিষ্ট দেশের এখতিয়ার। ‘আমি তাকে (রাষ্ট্রদূত) আশ্বস্ত করেছি, বাংলাদেশ চীনকে প্রতিবেশীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা অতীতের মতোই চীনের বন্ধুত্ব উপভোগ করছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা তা উপভোগ করতে থাকব।’
মান্নান বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন বাংলাদেশের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে, কারণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু চালুর পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত মংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে তাদের চলমান কাজ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছেন।
মান্নান বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত তাকে জানিয়েছেন যে, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক যান শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের মসৃণ উত্তরণের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাবে। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বন্ধু প্রতিম ও অর্থনৈতিকভাবে উদীয়মান একটি দেশ হওয়ায় চীন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
মান্নান বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেছেন যে বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে চীনে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।