শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

বৃহস্পতিবার ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৪ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ০৪:৩৭, ৪ আগস্ট ২০২২

বৃহস্পতিবার ভোলায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা

বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. নুরে আলম মারা যাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ভোলায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

বুধবার বিকেলে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা থেকে দিনব্যাপী হরতালের ঘোষণা দেন।

গত রোববার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় নুরে আলম আহত হন। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
 
নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। ওই মিছিল থেকেই বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রোববার গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি শহরের মহাজনপট্টিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। 

জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৩টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ১৬৫টি শটগানের গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষকালে আবদুর রহিম মাতব্বর নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয় নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই নুরে আলমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি মারা যান। এ ছাড়া ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আরও অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।