শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

আমদানিকৃত ডিম চলতি সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

আমদানিকৃত ডিম চলতি সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আমদানিকৃত ডিম দেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির দেশব্যাপী অক্টোবর মাসের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের নিকট চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫ টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

আলু আমদানির অনুমতি দেয়া হবে কিনা অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নিবে সরকার।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে দেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পিঁয়াজ দেয়া শুরু হলো- যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের- যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি যে, বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু আমদানিকৃত পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও দাম কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে- এক কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেরও অংশ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।