
চায়না এসে গুয়াংঝু এয়ারপোর্ট হতে সরাসরি শেনঝেন গিয়ে ২ রাত থেকে যখন আবার গুয়াংঝু এসে হোটেল এ Check In করতে যাই তখন Front Desk এর ছোট একটা মেয়ে আমার Passport নিয়ে যখন দেখে আমি বাংলাদেশী আর তখন বলে আমাকে হোটেল এ রাখা যাবে না আমাকে থানায় যেতে হবে। বললাম তোমার দেশে তো আরও এসেছি বাট থানায় তো যেতে হয়নি সাথে Passport এ আগেকার VISA ও দেখলাম । মেয়েটা বলল তুমি বাংলাদেশী তাই তোমাকে পুলিশ স্টেশন না গিয়ে হোটেলে থাকার পারমিশন নাই । তখন উনি রাস্তায় গিয়ে একটা গাড়ি থামায় আমাদের একটা গ্রুপকে গাড়িতে তুলে দিয়ে উনি পরের গাড়িতে আসল বাট গিয়ে দেখি উনি আরেক বাংলাদেশী গ্রুপ নিয়ে আগেই হাজির আর থানায় কেউ আছে বলে বাইরে থেকে মনে হল না। ২০-৩০ মিনিট পর দেখলাম আরও এক বাংলাদেশী গ্রুপ হাজির । এর অনেক পরে একজন পুলিশ থানা হতে বের হয়ে আমাদের সাথে যে মেয়েটা গেল তার সাথে কথা বলে এক এক করে অনেক প্রশ্ন করে একটা কাগজে কি যেন লিখে বিদায় করছে । এরপর এল আমাদের পালা
প্রথমে বলে আপনি চায়না কেন এসেছেন - বললাম ঘুরতে । বলল এয়ার টিকিট দেখান - ভাগ্য ভাল টিকিট বা বোর্ডিং পাশের ছোট অংশ ছিল Passport এর মধ্য সাথে এয়ারপোর্টে Finger দিলে একটা Receipt ও দেয় তাও ছিল যা দেখলাম . Return Ticket দেখলাম. শেনঝেন হতে গুয়াংঝু এর বুলেট ট্রেনের টিকিট চাইল দেখলাম । অফিসার ওই মেয়েকে বলে আর ওই মেয়ে খুব অল্প ইংরেজি জানে সে আবার আমাদের সাথে কথা বলে অফিসারকে বলে। এইবার বলল চায়না কি এই প্রথম না আগে ও এসেছেন- বললাম আগেও আসা আছে । বলল গুয়াংঝু কি করবেন- তখন মেজাজ খারাপ হয়ে বললাম - বাংলাদেশ হতে আসার সময় এয়ার টিকিট- বুলেট ট্রেনের টিকিট - Shenzhen Sea World Park- Shenzhen Windows World Park -Zoo- Guanzhou Safari Park এমন কি 24 hours Car রেডি করে এসেছি । সব ডকুমেন্টস দেখলাম এরপর কিছু সময় ভেবে আমাদের ২ জনকে বলল যাও । এরপর হোটেলে এসে পড়লাম আবার মহাবিপদে
হোটেলে আর এক মেয়ে Passport দেখে সেই একই প্রশ্ন- আমি বাংলাদেশী আমাকে হোটেলে আগেই থাকতে দেওয়া যাবেনা ।এক এক করে সব ডকুমেন্টস দেখলাম আর বললাম বাংলাদেশ হতে গাড়ি তো দূরের কথা প্রতিটি পার্ক এর ও টিকিট কেটে এসেছি যা দেখলাম সাথে আমাদের ড্রাইভার কে WeChat এ ফোন দিয়ে কথা বলালাম কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হল না । পরে বলল তোমাদের একটা Invitation Letter দাও তাহলে থাকতে পারবা । বললাম এসেছি ঘুরতে Invitation Letter পাব কই । কোন ভাবেই বুঝতে না পেরে ফোন দিলাম এক চায়না কে যে গুয়াংঝু তেই থাকে আর রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই ২ ঘণ্টা পর এসে সে চারিত্রিক সনদপত্র দিল যে আমাকে ভালোভাবে সে চিনে আর আমার Invitation Letter এ কয়েক বছর বাংলাদেশে উনারা ৩ জন চাকুরী করে এসেছেন । তারপর হোটেলে উঠতে পারি ।
কষ্ট লাগল আমরা বাংলাদেশিরা গ্রুপ ধরে থানায় থানায় ঘুরলাম আর কত যে আফ্রিকান হোটেলে সোফায় পা তুলে ঘুমাচ্ছে ।
এটাই নুতুন বাংলাদেশের ফল । সামনে আরও দই আছে । হয়ত অনেক কিছুর জন্যই রেডি থাকতে হবে ।
আমাদের যে বিনা কারণে চায়না সরকার হ্যারাসমেন্ট করছে এই কথাটা বলব কাকে? আমাদের মহামান্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ সাহেবকে বললে উনি হয়তো বলবে আমাদেরই ই দোষ বাট আমি বলবো আমাদের দোষটা কোথায় একটু জানাবেন ।
এমনি তেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, তুর্কি, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া সাথে থাইল্যান্ড (৪৫ দিনে VISA দেয়) বন্ধ করেনি