রোববার,

১৫ জুন ২০২৫

|

জ্যৈষ্ঠ ৩১ ১৪৩২

XFilesBd

ব্রেকিং

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থ-উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মোট বাজেট -৭,৯০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা-৫,৬৪,০০০ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি -২,২৬,০০০ কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৬%) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা-৫

যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

রেলের স্লিপার চুরি গেছে বহু আগে। পাথর নাই বছরের পর বছর। দৌলতদিয়া-গোয়ালন্দ ট্রেনযাত্রা যেনো পুলসিরাত পার

সুমন বিশ্বাস, গোয়ালন্দ ঘুরে এসে

প্রকাশিত: ২১:১০, ২ জুন ২০২৫

আপডেট: ০৪:৫৬, ৪ জুন ২০২৫

রেলের স্লিপার চুরি গেছে বহু আগে। পাথর নাই বছরের পর বছর। দৌলতদিয়া-গোয়ালন্দ ট্রেনযাত্রা যেনো পুলসিরাত পার

  

 

সারা পথে ঝড়ো গতি। শুধু ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ব্যয় এক ঘন্টা। কখনও কখনও একেবারে থেমেও যায় ট্রেন। আতঙ্কিত যাত্রীদের কেউ কেউ বগি ছেড়ে গন্তব্যে পৌঁছান রিক্সা ভ্যানে। বলছিলাম, ট্রেনের ঐতিহাসিক লাইন গোয়ালন্দ টু দৌলতদিয়ার গল্প।

ভূক্তভোগী যাত্রী সাধারণ জানাচ্ছেন, সারা পথ ট্রেন চলে খোয়া আর স্লিপারের ওপর। ৬ কিলোমিটার শুধু কেরামতি লাইন। মাটি ভেদ করে কাদার ওপর দিয়ে ট্রেন চালনায় রেল কতৃপক্ষের এডভেঞ্চার হলেও যাত্রীরা আছেন চরম আতঙ্কে। গোয়ালন্দ থেকে দৌলতদিয়া ঘাট অব্দি এমন অবস্থা।

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কটি জেলা আর উত্তরের ক’টি উপজেলার ট্রেন যাত্রীরা বেশ ক’ বছর আগেও ব্যবহার করতেন রাজবাড়ি- দৌলতদিয়া রুট। সাম্প্রতিক আন্তনগর ট্রেনের রুট বদল হওয়ায় এ লাইনের চাপ কমেছে কিন্তু বেড়েছে যাত্রীভোগান্তি। দিন-রাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পোড়াদহ অব্দি অল্প কিছু ট্রেন ছেড়ে গেলেও এসব  যাত্রীরা পার্শবর্তী পাঁচুরিয়া, কালুখালি জংশনসহ অন্যান্য স্টেশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু গোয়ালন্দ থেকে দৌলতদিয়া পর‌্যন্ত রেললাইনে একেবারেই নেই খোয়া কিংবা স্লিপার। কতো বছর আগে কোন আমলে এসব লাইনে খোয়া ফেলেছিল রেল কতর্পক্ষ তা বলতে পারেন না স্টেশন ম্যানেজার। ট্রেনের ভারে স্লিপারগুলো বহু আগেই চলে গেছে মাটির গভীরে। কাদার ওপর দিয়ে ট্রেন চলায় মাঝেমধ্যে আপনাআপনিই থেমে যায়। নিয়মিত যাত্রীরা বলছেন, ৬ কিলোমিটার যেনো তাদের কাছে পুলিসিরাত। যেতে লাগে এক ঘন্টারও বেশি।

 

ভূক্তভোগীরা বলছেন, ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানোর নিয়ম বেধে দিয়েছে কতৃপক্ষ। কিন্তু কাদার ওপর হেলেদুলে চলা ট্রেন প্রায়শই থেমে পড়ে। আতঙ্কিত যাত্রীদের কেউ কেউ তখন লাফিয়ে পড়েন রেলের দুপাড়ে। অতপর অন্য কোন যানবাহনে পৌছান গন্তব্যে। রেল বিভাগ বলছে, অভিযোগ দেয়া আছে পাকশির বিভাগীয় দফতরে। তারপরও সাড়াশব্দ মিলছে না। অথচ কোন ট্রেন লাইনচ্যুত হলে তা তোলার জন্য সাহায্যকারী জেটিও পৌছাতে পারবে না। সবমিলে মরণাপন্ন অবস্থায় রাজবাড়ি টু দৌলতদিয়ার ঐতিহাসিক রেলপথ।