ছবি: সংগৃহিত
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বড়খিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজির হোসেন এর ছেলে আলী আকবর অত্র এলাকার কবির হোসেব এর জমি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে সেখানে অবৈবভাবে দোকান নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কবির আহমদ এবং তার পরিবার বিগত ৬/০৩/২০২১ইং টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ করেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভোগী কবির আহমদ বলেন, ‘আমি ১৬ বছর আগে কুতুবদিয়া থেকে আগত মৌলানা শামসুল আলম পিতা মৃত আব্দুল খালেককে চার রুম বিশিষ্ট টিনের চাউনি দিয়ে নির্মিত একটা ঘর দখল সুত্রে বিক্রি করি। জমির পরিমাণ ৪০ কড়া মৌজা মধ্যম হ্নীলা ০৪, বি,এস খতিয়ান নং ১৮১২। বি,এস দাগ ২৮৪,২৮৫,২৮৬ দাং আং সৃজিত খতিয়ানের বি,এস,দাগ ২৮৬ দাগে-০.১৩৩৩ একর নাল। কিছু দিন আগে শামসুল আলম ঘরটি আলী আকবর এর কাছে বিক্রি করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, 'আমি দীর্ঘ দিন আমার গুরুতর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসারৎ থাকাবস্তায় আলী আকবর, তার শাশুর বাড়ির লোকজন এবং তার সাঙ্গোবাঙরা ঘরটা ভেঙ্গে ফেলে,বড় বড় কয়েকটি গাছ ছিল তাও সব কেটে নিয়ে যায়। পরে আমার মার্কেট করার উপযোগী জমি যেখানে আমি বর্তমান একটা দোকান করতেছি সে যায়গায় বড় বড় গাছ ছিল তা কেটে জমিটা নিজের দখলে নেয় এবং রাতারাতি দোকান তৈরি করে ফেলে ।আমি না থাকা অবস্থায় আমার আত্মীয় স্বজনরা বাধা দিলে তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখে।
আমি ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করি এবং জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আলী আকবর ক্ষমতাাধর হওয়ায় আমি জমি দখলে ব্যর্থ হই। কিছুদিন আগেও মানুষের ঘরে কামলা থাকা লোকটা এখন কয়েকটা গাড়ি এবং জমির মালিক হন।সে কিভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হলো তা কারো অজানা নয়। এর মধ্যে সে আমার তৎপরতা ও পুলিশের সুষ্ঠু তদন্ত টের পেয়ে এলাকার কিছু অসাধু প্রকৃতির লোকদের জোর প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বশ্যতা স্বীকার করার চেষ্টা করে। দুঃখের সাথে বলতে হয় কিছুদিন আগে আমার একমাত্র আয়ের উৎস মুদির দোকান যেখানে ছিল একটা বড় স্মার্ট টিভি, নগদ অর্থ এবং মুদির মালামাল।গত ৮/৩/ ২০২১ ইং তারিখে দোকানের মালামাল সহ সব কিছু লুট হয়ে যায়। ' তিনি আক্ষেপ করে বলেন-'এতদিন আমার দোকানের কোন ক্ষতি হয়নি অবৈধ দখলদার আসার পর থেকে আমার ব্যবসা বানিজ্য সব কিছুতে জোরজবরদস্তির প্রভাব পড়ছে।
দখলদার আলী আকবর ও তার শশুর বাড়ির লোকজন এবং কিছু ভুদালাল জোরপূর্বক দোকান নির্মান, গাছ কাটার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি বাধা দিতে গেলে সেখানে আইন শৃংখলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দখলদাররা বেপরোয়া হওয়ায় আমি জমির দখলেও যেতে পারছিনা। আমি জমির দখল ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।।"
এ বিষয়ে এলাকা বাসির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা ১৫/২০ বছর ধরে দেখে আসছি ঘরটা ব্যবহার করে আসছে মৌলবী শামশুল আলম এবং তার সন্তানরা। হঠাৎ করে দেখি আলী আকবর এবং তার শশুর বাড়ির লোকজন সব কিছু ভেঙে, গাছপালা কেটে কবিরের দোকানের পার্শ্বে নতুন দোকান নির্মাণ করছে। আলী আকবর এর কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন, 'আমার জায়গা উদ্ধার করতে পারলে আমি এই জায়গা ছেড়ে দিব। অন্যথায় এ জায়গা থেকে কেউ আমাকে তুলতে পারবে না।