
জগন্নাথ হলের একজন কর্মচারী শোধন দা, প্রতিদিন হলের ক্যান্টিনের উচ্ছিষ্ট খাবার জোগাড় করে হলের সকল কুকুরকে খাওয়ান। জগন্নাথ হলের ভিতরে কুকুর ৩০ এর বেশি।
কিন্তু বন্ধে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবারের সোর্স থাকে না। তাই এই কুকুরদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। Animal Welfare Team of Dhaka University এর সাথে যোগাযোগ করে হলেরই একজন আবাসিক শিক্ষার্থী, Rishikesh Roy , ফান্ড কালেক্ট করে শোধন দা কে দেয় এবং প্রভোস্ট স্যার এর সাথে কথা বলে একটি ক্যান্টিনে রান্নার ব্যবস্থা করে। এই পুরো বন্ধে তারা হলের কুকুর বিড়ালদের নিজেরাই খাইয়েছেন।
এই পুরো প্রক্রিয়ায়, Animal Welfare Team of Dhaka University কেবল পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছে। হলের ছাত্রদের থেকেই ফান্ড উঠে যাওয়ায় আলাদা করে আমাদের খরচ ও দিতে হয়নি। এর আগে রোজার ইদের বন্ধেও এইভাবেই তারা হলের কুকুরদের জন্য এগিয়ে আসে।
Rishikesh সহ হলের সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ যারা এতদিন ধরে বিভিন্নভাবে কুকুরগুলোকে সাহায্য করে গেছেন। আপনাদের সাবেক এবং বর্তমানদের এমন আন্তরিকতার কারণে জগন্নাথ হলের কুকুরগুলো এত বছর ধরে ভালোভাবে বেঁচে আছে। আশা করি আপনারা এভাবেই নিজেদের মানবিকতার নিদর্শন রেখে যাবেন।
সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাবো জগন্নাথ হলের সম্মানিত প্রভোস্ট, দেবাশীষ পাল স্যারকে, যিনি আমাদের বরাবর সহায়তা করে গেছেন। এর আগে রোজার বন্ধেও স্যার ক্যান্টিনে খাবার রান্নার ব্যবস্থা করে দেন শোধন দা কে।
ক্যাম্পাসে মোট হল ১২ টা। কোনো হলই বন্ধে পুরোপুরি খালি হয়ে যায় না। আপনারা প্রতি হলের ৩/৪ জন যদি এভাবে বন্ধে হলের কুকুর বিড়ালগুলোকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন, তাহলে ওদের আর না খেয়ে মরতে হয় না। আমরা বন্ধে এবং ওয়ার্কিং ডেজ এ ক্যাম্পাসের প্রায় ১৫০+ কুকুর বিড়ালকে সপ্তাহে ৩ বার খাওয়ানোর চেষ্টা করি। বন্ধে ভলান্টিয়ার সংকটে স্বাভাবিক কাজ করাই আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। আপনারা যদি নিজ নিজ হলের কুকুর বিড়ালদের অন্তত প্রতি বন্ধে খাওয়ানোর দায়িত্বটা নেন, তাহলে খুবই ভালো হয়। এই বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা আমরা করবো আমাদের জানালে।
সকলকে ধন্যবাদ এবং ক্যাম্পাসের ফারবেবিদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা।।