
অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের ৪ মে মুরুগেসান নামের ওই ব্যক্তি রাস্তায় এক মহিলার হাত টেনে ধরেন এবং তাঁর জাত নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেও শ্লীলতাহানির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
বিশেষভাবে সক্ষম এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করল মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) মাদুরাই বেঞ্চের। ২০১৮ সালের এই ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র মহিলার হাত টানা, যদি উদ্দেশ্য প্রমাণিত (Criminal Intent Not Proven) না হয়, তাহলে সেটিকে শ্লীলতাহানির অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না।
অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের ৪ মে মুরুগেসান নামের ওই ব্যক্তি রাস্তায় এক মহিলার হাত টেনে ধরেন এবং তাঁর জাত নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেও শ্লীলতাহানির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাঁকে তিন বছরের কঠোর কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
হাইকোর্ট জানায়, সাক্ষীদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ভুক্তভোগী মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে নিজের বক্তব্য স্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি। প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী কখনও দাবি করেছেন যে তিনি ঘটনাটি দেখেছেন, আবার কখনও বলেছেন যে অভিযুক্ত চলে যাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় উল্লেখ করে বিচারপতি আর এন মঞ্জুলা বলেন, ৩৫৪ ধারা প্রয়োগ করতে হলে ঘটনাটি এমন উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটতে হবে যাতে মহিলার শ্লীলতাহানি হয় এবং তা স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। শুধু মহিলার হাত টানা শালীনতার বোধকে আঘাত করতে পারে বটে, কিন্তু উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হলে অস্পষ্ট বা সাধারণ মন্তব্যের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
হাইকোর্ট অভিযুক্ত মুরুগেসানকে 'বেনিফিট অফ ডাউট' দিয়ে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্ত আগে কোনও জরিমানা বাবদ টাকা দেওয়া হলে তাও ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।