
২০০৪ সালের ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের করা এই আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ১৭ জুলাই পেপারবুক থেকে উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। ধারাবাহিকভাবে ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট, ২০ ও ২১ আগস্ট শুনানি হয়। সর্বশেষ শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এ বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বলা হয়েছিল, অভিযোগপত্র আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না, ফলে নিম্ন আদালতের রায় অবৈধ এবং টেকসই নয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের শতাধিক নেতাকর্মী, যাদের মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান।
সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত হামলাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করলেও হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ উভয়েই মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করে আসামিদের খালাস দেন। ফলে প্রায় দুই দশক পুরনো এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হলো।