বৃহস্পতিবার,

০২ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণকারীকে খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণকারীকে খুঁজছে পুলিশ

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণ করা অজ্ঞাত আবেদনকারীকে শনাক্ত করতে বোর্ডের কাছে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। কয়েকদিন আগে এই চিঠি দেওয়া হলেও রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়।

ওই চিঠিতে কোন মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছিল সেটি জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি নম্বরটি কার নামে নিবন্ধন করা আছে সেটিও জানাতে বলা হয়।

পুলিশ ও শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, শিক্ষাবোর্ডের সচিবের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে তিনি একটি বিষয়ে জিপিএ-৫ পাননি। সেজন্য সচিবের পরিবার পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে চায়। কিন্তু পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পায়, কে বা কারা আগেই নক্ষত্র দেব নাথের ছয় বিষয়ের ১২টি পত্রের আবেদন করে ফেলেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সচিবের স্ত্রী বনশ্রী নাথ পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এ নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত আবেদনকারীর ফোন নম্বর চেয়ে টেলিটক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠায়। কেননা উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন টেলিটকের মাধ্যমেই করা হয়। পাশাপাশি পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমার সই করা আরেকটি চিঠি গত বৃহষ্পতিবার পাঠানো হয় বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন নম্বর জানতে চেয়েছে। টেলিটক কর্তৃপক্ষকে আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে ফোন নম্বরটি সংগ্রহ করে পুলিশকে লিখিতভাবে জানাব। আসলে প্রতিটি পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো। তৃতীয় পক্ষের কেউ চাইলে একজন পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারেন না। এটা ওই পরীক্ষার্থীর অধিকার লঙ্ঘনের সামিল, যা সাইবার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।