
ফিনিক্স পাখি
চোখে জ্বালিয়ে রেখো বারুদ,
মনে সঞ্চয় করো তেজ।
পুড়িয়ে ফেলো ঈর্ষা, ঘৃণা ও অসত্যরে।
তারপর বাঁচো
বাঁচার জন্য একটি দোয়েলের শিস অনেক বড় অনুষঙ্গ।
ফের বছর কেটে গেছে
কত পাহাড় সমুদ্র উৎড়ে গেছে
কত মনের আনাগোনা চলল বিফল-বিকল ছিলনা সব
কেউ তো আসন গেড়ে বসেছে মনে।
যে একবার মরে তারে আর কে মারে!
যে একবার পোড়ে তারে ছোঁয় এমন আগুন কই!
যে বেঁচে ওঠে বার বার ফিনিক্স পাখির মত
ধ্বংসস্তূপ থেকে সে উঠে দাঁড়ায়
আবার বাঁচে
আবার ভালোবাসে
আবার
আমৃত্যু।
ঘুণ পোকা
নল থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে
সকাল থেকে রাত
টপ টপ টপ
মগজের শিরায় ঘুণপোকা যেন কাটছে বসে
হাতুড়ি চালিয়ে নিউরনে নিউরনে
কাটছে
কাঠঠোকরার মতো অবিরাম ঠক ঠক ঠক
তুমুল করে শব্দে যখন বৃষ্টি নামে
মেঘ ভেঙে পড়ে রেবার নীল জলে
প্রবল ঢেউয়ে ছাপিয়ে দু'কূল উপছে ওঠে সিন্ধুর তীর
ঝমঝম শাওয়ারে যখন মাতাল সিনানের ঝর্ণাজল
তখনও ঘুণপোকার অবসর নেই কোন
কাটতে থাকে কটকট কটকট
শরীর থেকে কেটে কেটে বিচ্ছিন্ন করে হাত, পা, গলা
বিচ্ছিন্ন করে স্মৃতি, স্বপ্ন প্রেম।
ফায়ার প্লেস
মুগ্ধ প্রেমের ভেলায় ভাসিয়ে আনে যে মেষ
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দেয় যে ভালোবাসা
আবার সময় গড়িয়ে গেলে রোদ ওঠে,
সন্ধ্যা নামে
শান্তিময় ডুবে যেতে চাই আঁধারের গহ্বরে-
এমন একটি 'তুমি' কেন হলে না
যেখানে কোন শরীরের লেনদেন নেই
পুতুপুতু রাখঢাক নেই
ভালোবাসা বা সংসারের জবরদস্তি নেই
থাকতো একটি ভরসার হাত
পথের হোচটে যে হাতটিকে শক্ত হাতে ধরা যায়
শারিরিক সংকটে বা মানসিক চাপে যাকে
কাছে পেলে আরাম লাগে
ঠিক যেমন শীতের দেশের ঘরের কোণে ফায়ার প্লেসের মতো
জুবুথুবু সারা শরীরে উষ্ণতায় আরাম পেতে
তুমি একেবারে আটপৌরের মতো ঘরোয়া
তোমার উপস্থিতি কারো জন্য ঠিক অস্বস্তি নয়
সবাইকে তুমি কিছু দায় থেকে মুক্তি দাও
ঠিক তেমন একজন 'তুমি'
যাকে মনে রাখার দায় নেই প্রেমে
যে মনে বসে থাকে তার মায়াময় অস্তিত্বে।