রোববার,

০৫ মে ২০২৪

|

বৈশাখ ২১ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

হবিগঞ্জের কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৫ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গঙ্গাচড়া থানার এসআই বুলবুল আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলা সদরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বের করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। 

এ ঘটনায় ওসি সালামসহ ১৫ পুলিশ সদস্য এবং ৪ সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবু, সাধারণ সম্পাদক আখিরুজ্জামান শিরন, ছাত্রদল রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন লিজু গুরুতর আহত হন। 

পুলিশ ও বিএনপি সূত্র জানায়, সারাদেশে গুম-খুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিহতের প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের পুরাতন সোনালী ব্যাংকের মোড় হয়ে বাজার অতিক্রম করে টাকোয়া মসজিদের সামনে সড়কে সমাবেশ করে। সমাবেশ চলাকালে পুলিশ এতে বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় বিএনপি কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। এরপর বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে ১৫ পুলিশ ও ৪ সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। 

এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে। তারা হলেন, বিএনপি নেতা মাহবুব আসিফ, ছাত্রদল নেতা সিন্দিদ, অয়ন ও নয়ন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান মিলন জানান, পুলিশ ৪ বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

তবে এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল জানান, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তিনি নাম বলেননি।

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা গুজব ছড়ায় তাদের ওপর পুলিশ হামলা করে কয়েক নেতাকে আটকের চেষ্টা করছে। পরে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।