শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৫ ১৪৩১

XFilesBd

শিরোনাম

প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল

সিংড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধ, আটক ৯

নাটোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

সিংড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধ, আটক ৯

নাটোরের সিংড়ায় একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের চলনবিল অধ্যুষিত দুর্গম বেড়াবাড়ী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

এই ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে বেড়াবাড়ী গ্রামে রেজাউল নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এই ঘটনায় মামলা হলে আসামি পক্ষের লোকজন মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে ও স্বাক্ষী না দিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। 

এছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় একটি মসজিদে কমিটি গঠন নিয়ে সাইফুল ও আনোয়ার গ্রুপের দ্বন্দ জোরালো হয়। এরই এক পর্যায়ে শনিবার সকালে ওই হত্যা মামলার ৩ নং আসামি সাইফুলের নের্তৃত্বে নিহতের চাচাতো ভাই আনোয়ার গ্রুপের অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ জানায়, হামলার সময় শর্টগান থেকে গুলি ছোড়া হয়। 

এতে আনোয়ার গ্রুপের শামীম প্রাামাণিক, মনসুর রহমান, আলী আজগর, আ. মান্নান, সাইদুর, সবুজ, শুভ, আব্দুর রউফ, দীপন, জামাল, বাবু সরকার, আমিরুল তালুকদার গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া মোজাম্মেল, লাকী বেগম ও শিরিনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে সাইফুল গ্রুপের লোকজন। 

পরে স্থানীয় গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ ১২জনসহ মোট ১৩জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 

নিহত রেজাউলের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, সকালে আমার স্বামীকে হত্যা মামলার ৩ নং আসামি সাইফুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন জানান, বেড়াবাড়ি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। দ্বন্দ নিরসনে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করে থানায় এনেছি। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জামিল আক্তার জানান, রেজাউল হত্যা মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী প্রদানে বাধা ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল সাইফুল গ্রুপ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে সকালে সাইফুল ও আনোয়ার গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সাইফুল গ্রুপের লোকজন শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এই ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।