শুক্রবার,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

|

আশ্বিন ৩ ১৪৩২

XFilesBd

স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যার দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৬ জুলাই ২০২৩

স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যার দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন

 জেলার সলঙ্গায় ব্র্যাক আনন্দ স্কুল শিক্ষিকা রহিমা খাতুন হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে একই সঙ্গে উভয়কে ১লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৪ ধারায় উভয়কে আরও ৩ বছর করে কারাদন্ড  দেয়া হয়। 

 মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত  জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক  মো. আবুল বাশার মিঞা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঝাউল উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের  ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৪১) ও একই থানার চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের রমজান আলীর  ছেলে আইয়ুব আলী (৪৩)। হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বেতুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।  

 মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০  মে সলঙ্গা থানার  বেতুয়া গ্রামের আক্তার  হোসেনের জমির পূর্ব পাশে খালের মধ্যে রহিমা খাতুনের লাশ পাওয়া যায়। এঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। তদন্ত চলাকালে পিবিআই রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে রহিমা খাতুনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন হলো তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে হাবিব তাঁর সহযোগী আইয়ুব আলীকে সঙ্গে নিয়ে রহিমা খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিমা খাতুনকে হত্যা করে খালের মধ্যে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরে হাবিবুর রহমান হাবিব হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি  দেয়। 

 পিবিআই হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ দন্ডাদেশ প্রদান করে।